সৎ মানুষ না থাকলে পৃথিবী অচল। এখনো দেশে-বিদেশে অনেক সৎ মানুষ আছে তারি এক বাস্থব উদাহরন ময়মনসিংহের ট্রাফিক কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক।অনেক বাধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন ।করেছেন কঠোর প্ররিশ্রম তাইতো সবাই আদর করে বলেন নানা ভাই।জানা গেছে
ময়মনসিংহের বাস স্টেশন এলাকায় দায়িত্বপালন করছেন ট্রাফিক কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক। দায়িত্বপালন করতে গিয়ে বছরখানেক আগে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিজের একটি পা বিকলাঙ্গ হয়েছে। চলতি মাসেই অবসরে যাবেন তিনি। বলছিলেন ময়মনসিংহে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের কথা। কাজ করতে গিয়ে হয়েছে মানুষের অপমান ও লাঞ্চনার শিকার।
তিনি বলেন, ছেলে মেয়ের দিকে তাকাইয়া চাকরিটা করি। আমরা গরীব মানুষ, চাকরিটা ছেড়ে দিলে কি করবো।
সড়কে নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করার কাজও করেন তিনি। রোদ-বৃষ্টিতে পুড়ে তার এই একাত্তা ও সততা নজর কাড়ে পথে চলা সাধারণ মানুষের। তাকে সবাই ভালোবেসে ডাকেন নানা ভাই।
এক পথচারি বলেন, এখানে কোনো যানজট থাকে না। অধিক পরিশ্রম করেন নানা ভাই। মেঘ থাকলেও দায়িত্ব পালন করেন। রোদ থাকলেও ডিউটি করেন। এক কথায় তিনি অনেক পরিশ্রম করেন তিনি।
আরেক পথচারি বলেন, তিনি এখানে অনেক পরিশ্রম করেন। তাকে আমরা নানা ভাই বলে ডাকি। এই ধরনের মানুষ যারা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে আমরা সর্বাত্মক ভাবে সার্পোট দেওয়া উচিত।
স্ত্রী আর এক ছেলে ও এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সংসার জীবনে পুরোটাই কেটেছে অর্থ কষ্টে। জমি বলতে সম্বল পৈতিক সূত্রে পাওয়া বাড়িভিটা। অবসরের পর সেখানেই ফিরছেন তিনি। রেখে যাচ্ছেন দীর্ঘ চাকরি জীবনের সততা ও নিষ্ঠার।দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে চাকরি করে কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক সম্বল বলতে পেনশনের টাকাই আর বাড়ি।
ট্রাফিক কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক এর সম্পর্কে ময়মনসিংহ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কাদের খান বলেন, সারা জীবন চাকরি করে গেলেন। অবসরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে। এখনও সে অন ডিউটিতে থাকতে চাচ্ছে। রেস্টে যেতে চাচ্ছে না। তার কাছে থেকে আমরা অনেক কিছু পাচ্ছি এবং উৎসাহিত হচ্ছি।তিনি কখনো ফাকি দেননি তার ডিউটির সময়।